সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা, ‘হি-ম্যান’ নামে পরিচিত ধর্মেন্দ্র (ধর্মেন্দ্র সিং দেওল) আর নেই। ৯০তম জন্মদিন পালনের কয়েকদিন আগেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, সোমবার সকালে নিজ বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা। শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত জটিলতার কারণে চলতি মাসের শুরুতে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে।

তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহশিল্পী, ভক্ত ও পুরো চলচ্চিত্র অঙ্গন কিংবদন্তির প্রয়াণে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে ধর্মেন্দ্রর বাড়িতে ছুটে গেছেন অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, আমির খান প্রমুখ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী খবর পেয়ে লিখেছেন, ‘এন্ড অব এরা’।
১৯৬০ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ধর্মেন্দ্রর। খুব দ্রুতই তিনি বলিউডের শীর্ষ তারকায় পরিণত হন। রোমান্টিক নায়ক থেকে শুরু করে অ্যাকশন হিরো—সব ধরনের চরিত্রে সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন। ছয় দশকের ক্যারিয়ারে তিনি অভিনয় করেছেন তিন শতাধিক ছবিতে; যার অনেকগুলোই এখন বলিউড ক্লাসিক হিসেবে বিবেচিত।

তার বিখ্যাত চরিত্রের কথা বলতে গেলে সবার আগে আসে ‘শোলে’ ছবির ‘বীরু’র নাম। এছাড়া ‘ফুল অউর পাথর’, ‘সীতা অউর গীতা’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘প্রতিজ্ঞা’—সবই তার ক্যারিয়ারের উজ্জ্বল মাইলফলক। স্বাভাবিক অভিনয়, সাবলীল সংলাপ আর পর্দাজুড়ে এক আলাদা উপস্থিতির জন্য অগণিত ভক্তের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি।

১৯৯৭ সালে চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে প্রদান করা হয় ফিল্মফেয়ার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। ২০১২ সালে ভারত সরকার তাকে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ প্রদান করে।

সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে ২০২৪ সালের ‘তেরি বাতোঁ মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’ ছবিতে, যেখানে শহিদ কাপুরের দাদার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়া করণ জোহরের ‘রকি অউর রানী কি প্রেম কাহানি’ ছবিতেও তার অভিনয় ব্যাপক প্রশংসা পায়। শিগগিরই মুক্তি পেতে যাওয়া ‘ইক্কিস’ ছবিতে অগস্ত নন্দার দাদার ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে—এ ছবিটিই হবে তার শেষ অভিনীত কাজ।

ধর্মেন্দ্রর পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী অভিনেত্রী হেমা মালিনী, প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর, দুই ছেলে সানি দেওল ও ববি দেওল এবং দুই মেয়ে এশা দেওল ও অহনা দেওল।

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে তার অবদান অমূল্য। ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণে যে শূন্যতা তৈরি হলো তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। তার কাজ প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে—মৃত্যুর খবর পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন প্রতিক্রিয়াই দিচ্ছেন সহকর্মীরা।

সূত্র: ফিল্মফেয়ার ও এনডিটিভি

Leave A Reply

Exit mobile version