সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সময় রাজনীতিবিদরা বারবার জানতে চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিত তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, গণভোট নিয়ে আইন (অধ্যাদেশ) হওয়ার পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আয়োজিত সংলাপের বিকালের পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।

এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করার ঘোষণা দিয়েছেন। সিইসি বলেন, গণভোটের কথা এসেছে। রেফারেন্ডামটা—কীভাবে ভোট করবো। আগে আইনটা তো হতে হবে। রেফারেন্ডামের একটা ল’—ওখানে বলা আছে, ঘোষণার মধ্যে, অর্ডারের মধ্যে একটা আইন হবে রেফারেন্ডাম, যেটা ইলেকশন কমিশনকে অথরাইজড করবে। প্রেসক্রাইব করে দেবে—কী বিষয়ে গণভোট হবে, কীভাবে হবে ইত্যাদি।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ওই আইনটা হলে তখন আমার একটা দায়বদ্ধতা আসবে এ ব্যাপারে বক্তব্য দেওয়ার। কিন্তু রাজনীতিবিদরা অনেক জিজ্ঞাসা করছেন—কীভাবে করবেন, কীভাবে এগুলোর জবাব দেবেন, কতটা বাক্স করবেন। এগুলোর সব চিন্তা, এক্সারসাইজ শুরু করবো আমরা ওই আইনটা হওয়ার পরে। এ সময় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে সময় সীমাবদ্ধতা নিয়ে সিইসি বলেন, কিছু মনে করবেন না, রাজনীতিবিদদের টাইম মেনটেইন করানো মুশকিল। আপনাদের কাজই তো বক্তব্য দেওয়া।

সিইসি নিজের সৌভাগ্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, ছাত্রাবস্থায় মান্না ভাইকে পেয়েছিলাম নেতা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্যারের (মঈন খান) সঙ্গে তো চাকরিই করেছি। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে ডিল করতে করতে এবং এ দেশের ইলেকশন দেখতে দেখতে, পাকিস্তান আমল থেকে দেখে এসেছি, বেসিক ডেমোক্রেসি থেকে সব কিছু। অভিজ্ঞতাও কম হয়নি। তিনি বলেন, ইলেকশন নিয়ে আমাদের কম অভিজ্ঞতা হয়নি। যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে। শুধু আমাদের উচিত হবে এ দেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, সামাজিক বাস্তবতাটা মেনে নিয়েই আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে।

Leave A Reply

Exit mobile version