হুথি নিয়ন্ত্রিত আদালত ইসরায়েল ও দেশটির পশ্চিমা মিত্রদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১৭ জনকে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আদেশ দিয়েছে। শনিবার সকালে রাজধানী সানা’র বিশেষ ফৌজদারি আদালত এই রায় ঘোষণা করে। হুথি নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম জানায়, এই মামলাগুলো ছিল আমেরিকান, ইসরায়েলি ও সৌদি গোয়েন্দাদের সঙ্গে যুক্ত একটি গুপ্তচর নেটওয়ার্কের অংশ।
গত মাসের গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর থেকে হুথিদের হামলা বন্ধ রয়েছে। যদিও এর মধ্যেই ইসরায়েল ইয়েমেনজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। জ্বালানির ট্যাংক, বিদ্যুৎকেন্দ্র, এবং মানবিক সহায়তা প্রবাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্দরনগরীসহ বিভিন্ন স্থাপনায় একের পর এক হামলায় রাজনৈতিক নেতাসহ বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।
হুথিরা আগস্টে নিশ্চিত করেছিল যে, ইসরায়েলের এক বিমান হামলায় সানায় তাদের সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাভি নিহত হন। সে সময় এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তার সঙ্গে সরকারের আরও কয়েকজন মন্ত্রীও নিহত হয়েছেন।
সানা ও ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণকারী হুথি কর্তৃপক্ষ শনিবার ঘোষিত মামলাগুলোয় জাতিসংঘ বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কোনও সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেনি। তবে গত এক বছরে তারা জাতিসংঘ ও বিভিন্ন এনজিও কার্যালয়ে বারবার অভিযান চালিয়েছে। এতে স্থানীয় কর্মীদের পাশাপাশি বিদেশি কর্মীরাও আটক হয়েছেন; বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিভিন্ন সরঞ্জাম।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের নিন্দা ও আটককৃতদের মুক্তির আহ্বানের মধ্যে হুথিরা দাবি করেছে, এসব পদক্ষেপ ইসরায়েলি অভিযান ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনীয়।

